বিনা শুল্কে পর্যটকবাহী গাড়ি আমদানির সুযোগ দাবি

বিনা শুল্কে পর্যটকবাহী গাড়ি আমদানির সুযোগ দাবি

ছোট ব্যবসায়ে মূল্য সংযোজন করের (মূসক তথা ভ্যাট) হার কমানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া কর জমা দেওয়া ও রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি সহজ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা পর্যটন খাতকে উদ্বুদ্ধ করতে বিনা শুল্কে ট্যুরিস্ট ভেহিক্যাল তথা পর্যটকবাহী গাড়ি আমদানির সুবিধা চেয়েছেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সম্মেলনকক্ষে গত বৃহস্পতিবার আয়োজিত আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সেবা খাতের হোটেল, রেস্তোরাঁ ও গেস্ট হাউসসহ অন্যান্য খাতের ব্যবসায়ীরা তাঁদের এসব দাবি তুলে ধরেন।

ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই ভ্যাট ও কর কমানো হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য, কর নেট বাড়ানো। আমরা বিশ্বাস করি, কর নেট যত বাড়বে, কর রেটও ততই কমবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, সুনির্দিষ্টভাবে পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য বিনা শুল্কে ট্যুরিস্ট ভেহিক্যাল তথা পর্যটকবাহী গাড়ি আমদানির সুবিধা নিশ্চিত করা কঠিন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা অ্যাম্বুলেন্স আমদানিতে সুবিধা দিয়েছিলাম। পরে দেখা গেল, দেশে মাইক্রোবাস আমদানি একবারে শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। অ্যাম্বুলেন্সের নামে মাইক্রোবাস আমদানি শুরু হয়। সে জন্য সুবিধার অপব্যবহার রোধ করতে চায় এনবিআর।’

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কর্মজীবী, শ্রমজীবী, দিনমজুরদের জন্য নিম্ন ও মাঝারি মানের রেস্তোরাঁ (বাংলা খাবার) ও স্ট্রিট ফুডের (ফুটপাতের খাবার) ক্ষেত্রে ভ্যাট সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ ও কর হার সর্বোচ্চ ০.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন।

ইমরান হাসান বলেন, চার ও পাঁচ তারকা হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে বিত্তবান ব্যক্তিরা সেবা নিয়ে থাকেন। তাই সেখানে ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ করা প্রয়োজন। যেসব রেস্টুরেন্টে অধিক মূল্যের ও বিদেশি খাদ্য বিক্রি হয়, সেগুলোতে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ আয়ের চাকরিজীবীরা যান। এ ধরনের রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা দরকার। এর বাইরে শিল্পকারখানা ও করপোরেট ক্যাটারিং সার্ভিসের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ ও কর হার সর্বোচ্চ ১ শতাংশ করার কথা বলেন তিনি।

আলোচনায় আরও অংশ নেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়।

Previous articleমুঠোফোনে সঞ্চয় করছেন ৪০ হাজার বিকাশ গ্রাহক
Next articleভারতের বাজেটে কর্মসংস্থান জোর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here