নগদ টাকা, শেয়ারবাজার, জমি-ফ্ল্যাটে কালোটাকার সুযোগ থাকল

নগদ টাকা, শেয়ারবাজার, জমি-ফ্ল্যাটে কালোটাকার সুযোগ থাকল

ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবে আগের মতো ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে নয়; ২৫ শতাংশ কর এবং ওই করের ওপর ৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে নগদ টাকা, ব্যাংকে রাখা টাকা, সঞ্চয়পত্র কিনেও টাকা সাদা করা যাবে। একইভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে চাইলে একই হারে কর ও জরিমানা দিয়ে কালোটাকা সাদা হবে। জমি ও ফ্ল্যাট কিনে এলাকা ও আয়তনভেদে নির্ধারিত কর দিয়ে কালোটাকা সাদা হবে।

আগামী ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত এ সুযোগ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকায় নতুন শিল্পকারখানা করা যাবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে ১০ শতাংশ কর দিয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কালোটাকা সাদা করার বিদ্যমান সুযোগটিও অব্যাহত আছে। কালোটাকা সাদা করলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ছাড়া অন্য কোনো সংস্থাও প্রশ্ন করবে না।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২১ সালের অর্থবিল পাসের সময় কিছু ধারা সংশোধন করে পাস করা হয়েছে। সেখানে নগদ টাকা, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে রাখা টাকার পাশাপাশি শেয়ারবাজার, ফ্ল্যাট-জমিতে বিনিয়োগ করে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ কর ও জরিমানা দিয়ে আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য অর্থবিলের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে একাধিক ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে।

এবার দেখা যাক, কোথায় কীভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নগদ টাকার পাশাপাশি আপনার যদি ব্যাংকে রাখা টাকা, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র থাকে, যা কালোটাকায় কেনা হয়েছে; তাহলে এসব খাতে রাখা কালোটাকাও সাদা করা যাবে। ২৫ শতাংশ কর ও করের ওপর ৫ শতাংশ জরিমানা, অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করতে হবে। এ ছাড়া কেউ যদি কালোটাকা শেয়ারবাজারে নিয়ে যেতে চান, তাহলেও একইভাবে ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। তবে ওই টাকায় কেনা শেয়ার এক বছরের মধ্যে বিক্রি করলে ১০ শতাংশ হারে জরিমানা বসবে।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময়ে দেওয়া নগদ টাকা, ব্যাংকে রাখা টাকা ও এফডিআর, সঞ্চয়পত্র কিনে ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগটি ৩০ জুন, অর্থাৎ আগামীকাল শেষ হয়ে যাচ্ছে। শেয়ারবাজারেও একই হারে কর দিয়ে শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ শেষ হচ্ছে কাল। ফলে কম হারে কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আছে আর মাত্র এক দিন।

এক বছর ধরে নগদ টাকা বেশি সাদা হয়েছে। নগদ টাকা সাদা করায় বেশি আগ্রহ ছিল করদাতাদের। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে সব মিলিয়ে ১০ হাজার ৩৪ জন করদাতা কালোটাকা সাদা করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ তেমন একটা নেননি করদাতারা। গত জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৩৪১ জন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে এ সুযোগ নিয়েছেন। জমি কিনেও খুব একটা কালোটাকা সাদা হয়নি।

Previous articleচট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ২,৪৬৩ কোটি টাকার বাজেট
Next articleঅগণতান্ত্রিক উপায়ে ‘কালোটাকা’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here