ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পাশে তিন প্রতিষ্ঠান

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পাশে তিন প্রতিষ্ঠান

বগুড়া সদরের ফুলবাড়ি গ্রামের মেয়ে এলিনা জাহান সারা বুটিক হাউস নামে অনলাইনে পাটের গয়না ও পোশাক বিক্রি করেন। হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার স্বপ্ন, প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিতে পেরে যেন তাঁর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন শুরু হলো। এলিনা ইউএনডিপির আনন্দমেলা স্টল থেকে তাঁর পণ্য বিক্রি করছেন।

এলিনার মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শতাধিক দেশীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবারের বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়ে পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন। এই উদ্যোক্তারা নানা সীমাবদ্ধতার কারণে মেলায় সরাসরি স্টল দিতে পারেননি। তবে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। মেলার আয়োজকেরাও দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ইউএনডিপির আনন্দমেলা, জয়িতা ফাউন্ডেশন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই) ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) স্টলে তাঁদের পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন।

তাঁদের মধ্যে ইউএনডিপির আনন্দমেলা স্টলে ৬০ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, জয়িতা ফাউন্ডেশনের স্টলে ২৫ জন আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের স্টলে ৬ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মেলায় অংশ নিয়েছেন। বিসিকের স্টলে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা শুধু পণ্য প্রদর্শন করছেন। এ ছাড়া কিছু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা নিজেদের উদ্যোগে ছোট স্টল নিয়েছেন। সব মিলিয়ে মেলায় এ ধরনের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।

এভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি স্টল দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোও। ইউএনডিপির আনন্দমেলা স্টলের সমন্বয়ক সারাহ জিতা বলেন, ‘আমাদের আনন্দমেলা প্রকল্পের অধীন দেশের সব জেলায় নারী উদ্যোক্তারা আছেন। তাঁদের মধ্য থেকে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ৬০ জনকে আমাদের স্টল থেকে পণ্য বিক্রির সুযোগ করে দিয়েছি। এতে উদ্যোক্তাদের খরচ হয়নি। পণ্য বিক্রি ভালো হচ্ছে। আর বাণিজ্য মেলার মতো এত বড় আয়োজনে এসে পণ্য বিক্রি করতে পেরে উদ্যোক্তারাও খুশি।’

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এসব স্টলে পোশাক, শুকনা খাবার, পাট ও কাঠের গয়না, পাটজাত বিভিন্ন পণ্য, বেতের পণ্য, চামড়াজাত পণ্য ও জামদানি পণ্য বিক্রি করছেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কম খরচে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যখন যা প্রয়োজন হয়, সাধ্যের মধ্যে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাঁদের বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

Previous articleবন্ধুর হাত ধরে এসেছে সাফল্য
Next articleনকশিপল্লির অপেক্ষায় হস্তশিল্পীরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here