অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে থাকার ইঙ্গিত

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে থাকার ইঙ্গিত

রাজস্ব আদায় বাড়ছে, রপ্তানিও বেড়েছে। বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা কিছুটা কমলেও অনানুষ্ঠানিক বা অবৈধ পথে প্রবাসী আয় ঠিক আছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এসব সূচক সামষ্টিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে এখন এই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, অমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই এখন থেকেই স্বাস্থ্য খাতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

গত জুলাই-ডিসেম্বরে বৈধ পথে প্রবাসী আয় কিছুটা কমেছে, কিন্তু অবৈধ পথে কোনো প্রভাব পড়েনি। ২০২০ সালে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনানুষ্ঠানিক পথে প্রবাসী আয় আসা কমে গিয়েছিল। এ ছাড়া ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিলে যাঁরা প্রবাসী আয় দেশে পাঠাতে পারেননি, তাঁরা ওই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বৈধ পথে অর্থ পাঠিয়েছেন। ফলে ২০২০ সালে প্রবাসী আয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিন্তু ভ্রমণ বা চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় আবার অনানুষ্ঠানিক পথে প্রবাসী আয় আসা আগের পর্যায়ে ফিরে গেছে। এ কারণে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় অর্থনীতিতে বড় আঘাত আসবে বলে মনে হয় না। তবে কিছু ঝুঁকি আছে। যেমন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে। এ ছাড়া গত দুই বছরে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যাও কমে গেছে, যা চিন্তায় ফেলছে। ভবিষ্যতে বিদেশে কম কর্মী যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে অমিক্রন ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বড় বাজার যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নে অমিক্রনের উপদ্রব বেশি। আবার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ফিরে আসতে পারে। তবে আশার কথা হলো, ইউরোপের দেশগুলোতে টিকা দেওয়ার প্রবণতা বেশি।

রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি বেশ ভালো। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

Previous articleঅর্থনীতির পাঁচ পূর্বাভাস, পাঁচ দুশ্চিন্তা ও পাঁচ প্রশ্ন
Next articleক্রেডিট কার্ডে এত ডলার পাচার হলো কীভাবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here